সফলতা অর্জন করতে হলে
১. একজন সুখী ও সফল মানুষ কখনও অতিরিক্ত অভিযোগ করেন না। দেখা যায়, যারা জীবনের প্রতি অভিযোগের পর অভিযোগ করে যান, তাদের সকল ক্ষেত্রেই নেতিবাচক একটা ধারনা থেকেই যায়। এধরণের মানুষের চারপামে যেসব সুখী মানুষের বসবাস, তাদের নিয়েও অভিযোগ করায় অভ্যস্ত একজন মানুষের মধ্যে নেতিবাচকতা দেখা যায়। যারা ছোট-বড় সব বিষয়ে অভিযোগ করেন, তারা সমস্যার সমাধান খোঁজার বদলে অভিযোগ জড়ো করে সমস্যাকে আরও বড় করে তোলেন। তাই অভিযোগ না করে সমস্যার সমাধোনের পথ খুঁজুন।
২. জীবনে সাফল্যের দেখা পেতে হলে ভুল করে সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারপর এগিয়ে যেতে হবে। অনেকেই অতীতের ভুল নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন থাকেন। ফলাফলে তাদের ভবিষ্যতও হুমকির মধ্যে থাকে। ভুল গ্রহণ করার মানসিকতা অর্জন করুন, তাহলে অনেক পথই সহজ দেখাবে।
৩. ভয় মানুষকে সাফল্য থেকে সবসময়ই পিছিয়ে দেয়। যা করা সম্ভব ছিল আর যে সমস্ত কাজের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে, তা নিতে হবে সঠিক সময়েই। কিন্তু সঠিক সময়ের আশায় অনেকেই ভয় চেপে বসে থাকেন। কোন কাজ ঠাকঠাক হবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কিত না থেকে সব কিছু গ্রহণ করার মানসিকতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই সফলতার পথ। যারা অতিরিক্ত ভয় পান, তাদের উচিত এই ভয়কে জয় করা।
৪. জীবনের অন্যতম কঠিন একটি কাজ হলো লক্ষ্য নির্ধারণ করা। তার চেয়ে বেশি কঠিন সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রথম পদক্ষেপটা নেয়া। অনেকেই এই পদক্ষেপটা নিতে বেশি সময় নিয়ে থাকেন। একটা লক্ষ্য নির্ধারণ হয়ে গেলে শুধুমাত্র সেটাকে বাস্তবায়ন করার দিকে মনযোগ দেওয়া উচিত।
৫. অন্যকে নিয়ে গালগল্প করলে বা নেতিবাচক কথা বললে বক্তার নিজের ভেতরেই নেতিবাচকতা কাজ করে, এর বেশি কিছু হয় না। কিন্তু সুখী হওয়ার জন্য এই ক্ষতির মাত্রাটা বেশ তীব্র। অন্যকে হাসি ঠাট্টার বিষয় করলে মানুষের নিজের ভেতরেও এক ধরণের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে। মনে রাখা উচিত, এই ধরণের কাজ প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাদের মানায়।
৬. কেউ যদি আপনার সাথে সঠিক আচরণ না করে তবে দীর্ঘ সময় সেটাকে ধরে রাখবেন না। এমনটা করলে এক সময় আপনার মেজাজে খিটখিটে ভাব চলে আসবে যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হয় ক্ষমা করে দিন, না হয় ভুলে যান আর নয়তো মনযোগ সরিয়ে নিন এবং এগিয়ে যান।
৭. নেশা মানুষকে একটা ঘোরের জগতে নিয়ে যায়। নেশায় মানুষ বাস্তব জগতের সাথে সম্পৃক্ততা হারিয়ে ফেলে। ক্ষণিকের জন্য উপভোগ্য হলেও মাদকদ্রব্য গোপনে খুব দ্রুত একজন মানুষের মানসিক ও শারীরিক অবস্থায় বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৮. শরীর সুস্থ তো জীবন সুন্দর। এটা অনেকেই মানতে চান না, খাওয়া দাওয়ার সাথে মানুষের নানা বিষয় জড়িত। শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার না পেলে ওজন কমে যায়, বিষন্নতা দেখা দেয়, কর্মশক্তি ও উদ্দীপনা হারিয়ে যেতে থাকে। অন্যদিকে, শরীর সুষমভাবে খাদ্য ও পুষ্টি পেলে আপনি হবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মানসিকভাবে আপনি থাকবেন সচেতন এবং এতে করে আপনি কর্মোদ্দীপনা পাবেন। তাই সঠিক খাবার খান, সুস্থ ও সুখী থাকুন।
সোর্স : 24liveNewspaper
সফলতা অর্জন করতে হলে
Reviewed by samiul siddique shakil
on
5:35 AM
Rating: