ইন্টারভিউতে যা যা করা উচিত না!
দেরিতে পৌঁছানো: সঠিক সময়ে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। কারণ প্রথম দিনই যদি দেরি করে ফেলেন তাহলে আপনার উপর নির্ভর করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ জাগতে পারে। যদি নির্ধারিত সময়ের দেরিতে পৌছান তাহলে কাজকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না, এমন ধারণাও তৈরি হতে পারে।
সঠিক পোশাক বাছাই: যদি জিন্স এবং টি-শার্ট পরে যান তাহলে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই ইন্টারভিউয়ের জন্য সঠিক পোশাক বেছে নিয়ে তবেই তৈরি হয়ে নিতে হবে।
অতিরিক্ত ভয় পাওয়া: ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবে ভয় যদি এতটাই জেঁকে বসে যে আপনি কোনো উত্তরই ঠিকভাবে দিতে পারছেন না তাহলে কোনোভাবেই ওই কাজের জন্য নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবেন না। তাই প্রথমেই নিজের মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। নাহলে ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত সবার ধারণা হতে পারে যে আপনি চাপ নিয়ে কাজ করতে পারবেন না এবং জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবেন।
মিথ্যা বলা: জীবনবৃত্তান্তে দেওয়া ভুল তথ্য প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পরলেও পরে তা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই সব সময় জীবনবৃত্তান্তে সঠিক তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া ইন্টারভিউয়ের সময়ও সব সঠিক তথ্য দেওয়া জরুরি।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা: চাকরির সাক্ষাৎকারের সময় কোনোভাবেই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আর্থিক অবস্থা, কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলাপ করা যাবে না। এই সময় কর্মদক্ষতা নিয়ে আলাপ করাই সব থেকে কার্যকর।
দুর্বলতা আড়াল করা: অনেক সময় দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। যদি তা আপনি পুরাপুরি আড়াল করে যান তাহলে পরে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই এ ধরনের প্রশ্ন করা হলে সোজাসাপ্টা উত্তর দিন। কারণ এতে মানসিক পরিপক্কতা প্রকাশ পায়।
ইন্টারভিউতে যা যা করা উচিত না!
Reviewed by samiul siddique shakil
on
3:09 AM
Rating: